• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে ২১৮ রানের লিড পেল বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ১৩, ২০১৮, ০৬:১৮ পিএম
জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে ২১৮ রানের লিড পেল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সিলেটের পর ঢাকা টেস্টেও বল হাতে যাদু দেখালেন তাইজুল ইসলাম। এই টাইগার স্পিনারের ছোবলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩০৪ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। ফলে তৃতীয় দিন শেষে ২১৮ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে সফরকারিদের ফলোঅন করাবে কিনা সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে চতুর্থ দিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।  

সিলেট টেস্টে ১১ উইকেট শিকার করা তাইজুল ইসলাম, ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। সিলেটের মতো ঢাকাতেও জিম্বাবুইয়ান শিবিরে আতঙ্ক ছড়ান তাইজুল। দ্বিতীয় দিনে শেষ বিকেলেই তিনি তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার উইকেট। তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্যটাও এসেছে তাইজুলের হাত ধরেই। তাঁর বলেই ডোনাল্ড ত্রিপানোকে ক্যাচ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলেও মাসাকাদজার ক্যাচ দিয়েছিলেন মিরাজকে।

মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৩ উইকেট ১০০। তবে সফরকারীদের বড় ধাক্কা হয়েছে ব্রায়ান চারিকে হারানো। ৫৩ রানের ইনিংস খেলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মুমিনুলকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মিরাজের বলটি চারির গ্লাভস ছুঁয়ে শর্ট লেগে গিয়েছিল মুমিনুলের তালুতে। তবে আম্পায়ার ওই মুহূর্তে আউট ঘোষণা করেননি তাঁকে। রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছে বাংলাদেশ।

মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে এসে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হেনেছেন তাইজুল। তিনি এবার বোল্ড করেছেন শন উইলিয়ামসকে (১১)। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে ফেরান তিনি। খানিক বাদেই এ স্পিনারের শিকার হয়ে ফেরেন সিকান্দার রাজা। তিনিও সাজঘরের পথ ধরেন সোজা বোল্ড হয়ে। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জিম্বাবুইয়ানরা।

তবে পিটার মুরকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন চেষ্টা করেন ব্রেন্ডন টেইলর। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন এই জুটি। অবশেষে ভয়ঙ্কর এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান পার্টটাইমার আরিফুল হক। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে মুরকে ফেরান তিনি। ফেরার আগে ১১৪ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ রান করেন মুর। দুর্দান্ত খেলতে থাকা ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে গড়েন মহামূল্যবান ১৩৯ রানের জুটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের হয়ে ষষ্ঠ উইকেটে এটি রেকর্ড রানের পার্টনারশিপ।

তবে থেকে একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেন্ডন টেইলর। ১৮৭ বলে ৮টি চারের মারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। মিরাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভেরিতে তাইজুলের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন টেইলর। তার আগে ১৯৪ বলে ১০টি চারের সহায়তায় ১১০ রান করেন এই জিম্বাবুইয়ান।  

ব্রেন্ডন টেইলরের বিদায়ের পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। এক বল পর আরও একটি উইকেট তুলে নেন মিরাজ। ব্রান্ডন মাভুতাকে শুন্য হাতে বিদায় দেন তিনি। এরপর রেগিস চাকাবভা ও কাইল জার্ভিস ফলো-অন এড়ানোর লড়াই শুরু করেন। কিন্তু ইনিংসে ১০৬তম ওভারের তৃতীয় বলে চাকাবভাকে আউট করে জিম্বাবুয়েকে ফলো-অনে ফেলেন তাইজুল। আর ঐ আউটের পরই তৃতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন ম্যাচের দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ার। জিম্বাবুয়ের জার্ভিস ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনজুরির কারনে ব্যাট হাতে নামেননি তেন্ডাই চাতারা। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল নেন ৫উইকেট। মিরাজের শিকার ৩ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরি (২১৯), মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি (১৬১) এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে (৬৮) রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন স্বাগতিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫ উইকেট নেন কাইল জার্ভিস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!