• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক জেনারেলের ফোনেই ভণ্ডুল অভ্যুত্থান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ১৯, ২০১৬, ১১:০১ এএম
এক জেনারেলের ফোনেই ভণ্ডুল অভ্যুত্থান

তুরস্কে গত শুক্রবারের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার পেছনে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সাহসী ভূমিকা, জনগণের রাস্তায় নেমে আসা ইত্যাদির ব্যাপক ভূমিকা ছিল। কিন্তু এসবের আগে ছিল একটি ফোনকল। এক জেনারেল প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ঠিক সময়ে সতর্ক করে না দিলে হয়তো এগুলোর কিছুই হতো না। খুব সম্ভবত অভ্যুত্থানকারীরা জয়ী হতো।

এই কাজটি করেছিলেন জেনারেল উমিত দান্দার।

বিদ্রোহীরা কিন্তু বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল। ওই রাতেই তারা এরদোগানের অবস্থান নিশ্চিত হতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এমনকি এই অভ্যুত্থানের নাটের গুরু বলে যাকে বলা হচ্ছে সেই জেনারেল একিন ওজতুর্ক অভ্যুত্থানের আগে এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি এরদোগান যে মারমারায় অবস্থান করছেন, তা নিশ্চিত হন। আর তাতেই তিনি সেখানে তাকে হত্যা কিংবা বন্দি করতে বাহিনী পাঠিয়েছিলেন।

তুর্কি পত্রিকা হুরিয়াতের খবরে বলা হয়, ফার্স্ট আর্মির কমান্ডার উমিত দান্দার শুক্রবার দিবাগত রাতে (অভ্যুত্থানের এক ঘণ্টা আগে) এরদোগানের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভ্যুত্থান শুরু হওয়ার বিষয়টি জানাতে পেরেছিলেন। এই খবর পেয়েই এরদোগান হোটেল ত্যাগ করেছিলেন। বিদ্রোহী সৈন্যরা যখন সেখানে পৌঁছে, তার আগেই তিনি সরে পড়েছিলেন।

অভ্যুত্থানের সময় বিদ্রোহীরা সেনাপ্রধানকে আটক করেছিল। পরে এরদোগান এই জেনারেল দান্দারকে ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান নিয়োগ করেছিলেন।

অভ্যুত্থানের আগে এরদোগানকে দান্দার বলেছিলেন, ‘আপনিই আমাদের বৈধ প্রেসিডেন্ট। আমি আপনার পক্ষে আছি। এটা একটা মারাত্মক ক্যু। আঙ্কারার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ইস্তাম্বুলে আসুন। আমি সেখানকার সড়ক এবং অন্যান্য ব্যবস্থা ঠিক করে রাখব।'

হুরিয়াত জানায়, প্রেসিডেন্ট হোটেল ত্যাগ করার আধা ঘণ্টা পর ৪০ জন বিদ্রোহী সৈন্য ঝড়ের বেগে সেখানে প্রবেশ করে। কিন্তু ততক্ষণে এরদোগান ইস্তাম্বুল রওনা হয়ে গেছেন।

হোটেলে প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীদলের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়। এতে বিদ্রোহীরা পরাজিত হয়। তাদের একটি হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়। তারা তখন পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!