• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘কারাগারে অদ্ভুতভাবে ১৩ হাজার ব্যাক্তিকে মেরেছে সিরিয়া’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭, ০৫:২৭ পিএম
‘কারাগারে অদ্ভুতভাবে ১৩ হাজার ব্যাক্তিকে মেরেছে সিরিয়া’

ঢাকা: সিরিয়ার দামেস্কের কাছে একটি কারাগারে পাঁচ বছরে ১৩ হাজার মানুষকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। বিশেষ একটি গোষ্ঠীকে নির্মূল করে দেওয়ার জন্য সরকারি নীতিমালার অংশ হিসেবে এসব ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কম বয়সীদের ওজন কম হওয়ায় তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেত না। দড়িতে ঝুলিয়ে তাদেরকে নিচ থেকে টেনে ঘাড় ভেঙে দেওয়া হতো। 

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ১৫ পর্যন্ত সময়ে ফাঁসিগুলো দেয়া হয়।

মানবাধিকার সংস্থাটি ৮৪জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ‘হিউম্যান স্লটারহাউস: ম্যাস হ্যাংগিং এন্ড এক্সটারমিনেশন অ্যাট সায়েদনায়া প্রিজন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী, বন্দি ও বিচারক পর্যন্ত ছিল বলে জানানো হয়েছে। 

এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল বলে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এখনও সিরিয়ায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা জানিয়েছে সংগঠনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সিরিয়ার কুখ্যাত সায়েদনায়া কারাগারে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ৫০ জনের মতো একটি দলকে বিধিবহির্ভূতভাবে বিচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। তাদেরকে পেটানোর পর মাঝরাতে গোপনে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। লাশগুলো গোপনে লরিতে করে নিয়ে যাওয়া হতো। পরে তাদের গণকবর দেওয়া হয়।

সেনা পরিচালিত সায়াদনায়া বন্দিশালাটি দামেস্ক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সিরিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দিশালা এটি। ফাঁসির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন এমন এক সাবেক বিচারক অ্যামনেস্টিকে জানান, ১০-১৫ মিনিট ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হতো। কম বয়সীদের ওজন কম হওয়ায় তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেত না। তাদেরকে নিচে টেনে ঘাড় ভেঙে দেওয়া হতো।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুরো প্রক্রিয়া চলার সময় বন্দিদের চোখ বাঁধা থাকতো। কখন এবং কিভাবে তাদের হত্যা করা হবে তাও জানতেন না বন্দিরা। অ্যামনেস্টি জানায়, যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তারা বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং আসাদ সরকারের বিরোধী।

অ্যামনেস্টির অভিযোগ, সায়াদনায়া কারাগারের বন্দিদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিংবা একে অপরকে ধর্ষণে বাধ্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, সিরিয়ায় ৫ বছরের গৃহযুদ্ধে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গরহারা হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!