• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাম্পকে নামাতে এবার জাদুমন্ত্র!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭, ০৬:০৬ পিএম
ট্রাম্পকে নামাতে এবার জাদুমন্ত্র!

ঢাকা: একাবিংশ শতাব্দিতে বসবাস করলেও গ্রামের অনেক মানুষ এখনো ঝঁরফুক ও জাদুমন্ত্রে বিশ্বাস করেন। চুরি হওয়া সম্পদ পেতে আয়না পড়া থেকে শুরু অনেক কিছুই করা হয়। কাউকে বশে আনার তদ্বিরের পোস্টার ঢাকা শহরের অলিগলিতে দেখা যায়। কিন্তু সেই অন্ধ বিশ্বাসকে কেউ রাজনৈতিক ময়দানে ব্যবহার করেন না।

কিন্তু খোদ মাকির্ন সাম্রাজ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নাকি জাদুবিদ্যার মাধ্যমে সরানো হবে। এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির একদল ডাকিনি বা ডাইনি। তারা আধ্যাত্মিক শক্তিকে কাজে লাগাবে ঘোষণা দিয়েছে।

তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে চলছে রীতিমত হইহুল্লোর। শুধু উদ্যোগই নয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রীতিমত যাদুমন্ত্র পড়া শুরু করে দিয়েছে। তাদের বিশ্বাস এই মন্ত্রের মাধ্যমেই ট্রাম্পের পতন হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধীরা যখন তাকে হোয়াইট হাউজের বাইরে দেখার জন্য আরো চার বছর অপেক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ডাকিনীরা বেশ আশাবাদী।

এসংক্রান্ত একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রায় সাড়ে দশ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছে এবং ব্যবহার করে তারা অনলাইনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। খ্রিস্টান রক্ষণশীলরা এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এবং ডাইনিরা আধ্যাত্মিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করছে।

নিজেকে জাদুর বুদ্ধিজীবী হিসেবে দাবি করেন এমন একজন লেখক হলেন মাইকেল হিউস। তিনি অনলাইনে একটি মন্ত্র পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন ডাকিনীবিদ্যার ফোরামে তিনি এধরনের অনেক মন্ত্র দেখেছেন। ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করার মন্ত্র পড়ার জন্য একটি কমলা রঙ্গের মোমবাতি, ট্রাম্পের একটি ছবি এবং ডাকিনীবিদ্যায় ব্যবহার হয় এমন একটি ট্যারট কার্ড ব্যবহার করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্র পড়ে যা করতে হবে:
জাদুবিদ্যার অনুসারীদের বলা হয়েছে কমলা রঙের ওই বিশেষ মোমবাতির ওপর একটি পিনের সাহায্যে ট্রাম্পের নাম লিখতে। মোমবাতি জ্বালিয়ে তারপরে মন্ত্রটি পড়া অবস্থায় ছবিটি পুড়িয়ে ফেলতে। ট্রাম্প ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি অর্ধচন্দ্রের রাতে জাদুমন্ত্র চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে ডাকিনীরা। আগামী ২৬শে মার্চ আবার এই মন্ত্র পড়া হবে বলে তারা জানিয়েছে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে আলোচনার চেয় সমালোচিত হয়ে আসছেন বেশি। তার বিতর্কিত বক্তব্যে নিজের কনজারভেটিব দল পর্যন্ত অস্বস্তিতে আছে। বিরোধিরা চাইছেন অস্বাভাবিক কিছু ঘটুক। গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত দেশটিতে অবারিত বাকস্বাধীনতা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/আতা 

Wordbridge School
Link copied!