• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে জব্দ করতে ভারতের নয়া চাল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ৩, ২০১৭, ১০:২৭ পিএম
পাকিস্তানকে জব্দ করতে ভারতের নয়া চাল

ঢাকা: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরে সেনাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করার অভিযোগের শেষ নেই। নির্যাতনের এ চিত্র সুযোগ পেলেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে পাকিস্তান। এতে নেতিবাচক প্রচারণা পাচ্ছে ভারত। তাই পাকিস্তানকে জব্দ করতে কাশ্মীর নিয়ে নয়া কৌশলে নেমেছে ভারত।

নতুন কৌশলের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জম্মু কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তান যেন আর কথা না বলে, সেজন্য পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবে ভারত। নয়া কৌশল কতটুকু কাজ করবে তা দেখতে শুরু করে দিয়েছে দেশটি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ঠুকে দিয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অজিত কুমার যত দ্রুত সম্ভব আজাদ কাশ্মিরের ওপর থেকে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ অবসানের দাবি জানিয়েছেন। এজন্য জাতিসংঘের কাছে দাবিও জানিয়েছেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার উচিত নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি কাশ্মিরের ওপর দখলদারিত্ব অবসানের জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। মানবাধিকারের অজুহাতে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরে ও জম্মু-কাশ্মিরের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

তিনি আরো দাবি করেছেন, কাশ্মিরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান হস্তক্ষেপ করায় এ পর্যন্ত তিনবার দু'দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে। পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মিরের ৭৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কাশ্মির ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে ভারত সম্প্রতি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছে। তবে এ কৌশল ঠিক কতটুকু কাজ দিবে তা সময়ই বলে দিবে।

প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে জম্মু কাশ্মিরের জনগণের ওপর চলমান হত্যাকাণ্ড ও তাদের দুরবস্থার ব্যাপারে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে আসছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনারা নির্যাতন চালাচ্ছে তার ছবি বিভিন্ন জাগায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে কাশ্মিরের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়টি সেখানকার অধিবাসীদের ওপর ছেড়ে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ।

এ ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাশের জন্য একটি খসড়া  প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এর ফলে ভারত সরকার প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে পাকিস্তানের প্রতি। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মিরের জনগণই গণভোটের মাধ্যমে ঠিক করবে তারা ভারত না-কি পাকিস্তানের সঙ্গে মিলিত হবে। কিন্তু ভারত সরকার জাতিসংঘের ওই প্রস্তাব বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

এর আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজাদ কাশ্মীর(যা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে) নিয়ে কথা বলেছিলেন। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা এখন পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে।

তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ভাষার মিল থাকলেও ধর্ম, আচার, সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধে ভারতের সম্পূর্ণ বিপরীতে জম্মু কাশ্মীরের জনগণ। ভারতীয় সেনাদের মারমুখি আচরণকে মোটেও ভাল চোখে দেখে না কাশ্মীরের অধিবাসীরা। তারা চায়, একটি গণভোট হোক। সেই ভোটেই সিদ্ধান্ত হবে তারা নতুন স্বাধীন দেশ না ভারত বা পাকিস্তানের অংশ হবে।

পাকিস্তান রাজি হলেও ভারত এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!