• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বোরকা নিষিদ্ধ করছে শ্রীলঙ্কা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম
বোরকা নিষিদ্ধ করছে শ্রীলঙ্কা

ফাইল ছবি

ঢাকা : ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় নারীদের জড়িত থাকার সন্দেহে বোরকা ও নেকাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার সরকার। সরকারের একটি উচ্চ মহলের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বোরকা ও নেকাব নিষিদ্ধের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। তারা এই বিষয়টি নিয়ে দেশটির মসজিদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছে। গতকাল এই বিষয়টি নিয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্টের সাথেও কথা বলেছে।

সরকারের একটি উচ্চ মহল বলছে, ১৯৯০ দশকের গলফ যুদ্ধের আগে শ্রীলঙ্কায় মুসলিম মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবে বোরকা বা নেকাব ব্যবহার করা হতো না। এই ধরনের পোশাকের মধ্যে এক ধরনের চরমপন্থী উপাদান রয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, বোরকার আড়ালে অপরাধীচক্র অপরাধ করে ঘুরে বেরায়। আর বোরকা বা নেকাব পরার করণে তাদের চিহ্নিত কার সম্ভব হয় না।

ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলংকায় হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, শ্রীলংকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে এ হামলার সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চের হামলার সম্পর্ক রয়েছে।

মঙ্গলবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান জয়াবর্ধনে সংসদে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে শ্রীলংকায় (রোববার) কী ঘটেছিল, তা ছিল ক্রাইস্টচার্চে মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলার প্রতিশোধ।

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে শ্বেতাঙ্গ ডানপন্থীর সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন মুসল্লি নিহত হয়েছিলেন।

জয়বর্ধনে বলেন, তদন্তে দেখা গেছে স্থানীয় ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াত (এনটিজে) এ ঘটনার পেছনে ছিল। এর সঙ্গে ভারতের ছোট মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীর সংযোগ রয়েছে।

সংসদে জয়াবর্ধনে বলেন, এই ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াত গোষ্ঠীর হামলার সঙ্গে (জেএমআই) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, এখানে উল্লেখ করা যায় জামায়াত-উল-মুজাহিদীন ভারত নামে পরিচিত এ গোষ্ঠীটি।

এ ঘটনায় দেশটিতে কারফিউ জাড়ি করা হয়। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে।

নাশকতার তদন্তে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হলো শ্রীলঙ্কার পুলিশ এবং সেনাকে। এর ফলে আদালতের নির্দেশ ছাড়াই কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে তারা। তামিল গৃহযুদ্ধের সময়ও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সেনাকে। তাই বিস্ফোরণ-পরবর্তী পরিস্থিতি অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে তামিল গৃহযুদ্ধ চলাকালীন দেশের হিংসাত্মক অতীতের কথা।

গ্রেফতারের মধ্যে একজন সিরিয়ার নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলংকা পুলিশের মুখপাত্র।

মঙ্গলবার থেকে হামলার ঘটনায় নিহতদের গণকবর দেওয়া শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার সময় সারা দেশজুড়ে নীরবতা পালনের পরপরই শুরু হয় গণকবর।

রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকার তিনটি গির্জা, তিনটি হোটেলসহ অন্তত আটটি স্থানে পরপর বোমা হামলা হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক। আহত পাঁচ শতাধিক।

ওই দিন ছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ইস্টার সানডে। হামলার সময় তিন গির্জায় ইস্টার সানডের প্রার্থনা চলছিল।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!