জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ভাগ্য নির্ধারণের দিন ঘোষণা আজ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করবে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত এ মামলাকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজধানীজুড়ে।
রায়কে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকা, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বহিরাগত প্রবেশেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, বুধবার গভীর রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় তারা সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।
প্রসিকিউশন দাবি করেছে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশে-বিদেশে বিচার প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা চলছে। বিদেশে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার শুনানিতে প্রসিকিউশন পক্ষ জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে উসকে দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। শুনানিতে ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন—এর মধ্যে শহিদ পরিবারের সদস্য, আহত ব্যক্তি ও চিকিৎসকরাও রয়েছেন।
তাদের বয়ানে উঠে এসেছে গণহত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতনের মতো ভয়াবহ চিত্র। প্রসিকিউশন বলেছে, আদালতে উপস্থাপিত সাক্ষ্য ও প্রমাণ আসামিদের অপরাধ প্রমাণে যথেষ্ট শক্তিশালী। তারা শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে।
এম







































