• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাহাড়ে ফুটেছে ক্যাশিয়া জাভানিকা


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি মে ১০, ২০২২, ০১:৫০ পিএম
পাহাড়ে ফুটেছে ক্যাশিয়া জাভানিকা

ক্যাশিয়া জাভানিকা

খাগড়াছড়ি : পাহাড়জুড়ে প্রচণ্ড খরতাপে স্বস্তির সুবাতাস দিচ্ছে ক্যাশিয়া জাভানিকা। পাহাড়ে গ্রীষ্মে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া আর জারুল মুগ্ধ করে ফুল প্রেমীদের। আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে ক্যাশিয়া জাভানিকা বা লাল সোনাইল।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ফুলে ফুলে শোভিত ক্যাশিয়া জাভানিকা গাছ।

বছর তিনেক আগে খাগড়াছড়ি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীয় কার্যালয়ে ক্যাশিয়া জাভানিকার চারা রোপণ করেছেন সওজ প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। বর্তমানে গাছ প্রায় ৫ মিটার উঁচু হয়েছে। ছাতার মতো ছড়িয়েছে ডালাপালা। গাছজুড়ে ফুটেছে জাভানিকা বা লাল সোনাইল। অল্পবয়সী গাছটি এখন ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। নতুন ধরনের এ ফুল প্রকৃতি প্রেমীদের মুগ্ধ করছে।

সবুজ চাকমা বলেন, গাছটি পাহাড়ে দেখা যায়। ১৯৯৪ সালে আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ ছিল। সেটি প্রাকৃতিকভাবেই জন্মেছিল। আমি খাগড়াছড়ি থেকে এ গাছের চারা সংগ্রহ করেছি। চারাটি প্রায় ৩ বছর আগে লাগিয়েছিলাম। খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে এ গাছটি দেখা যায়।

তিনি আরো বলেন, ফুলের রং গোলাপি হওয়াতে দুর থেকে দর্শনার্থীদেরকে মুগ্ধ করে। সাধারণত সারা দিন রোদ পাওয়া যায় এমন স্থানে লাগালে ভালো ফুল পাওয়া যায়।

ক্যাশিয়া জাভানিকার বৈজ্ঞানিক নাম Cassia javanica,  গ্রীষ্মে এ ফুল ফোটে। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার ছাড়াও ইন্দোনেশিয়াসহ উষ্ণমন্ডলীয় এলাকায় এ ফুল ফোটে। গাছ দ্রুত বর্ধনশীল, মাঝারি আকৃতির, ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। মাথা ছড়ান, পত্রমোচী, যৌগপত্র ১-পক্ষল, ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা, পত্রিকা ১৬ থেকে ২৮টি, মসৃণ ও ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার লম্বা।

নিসর্গবিষয়ক লেখক মোকারম হোসেন বলেন, লাল সোনাইলের ফুল, পাতা ও গাছের গড়ন বেশ নান্দনিক। অল্পবয়সী গাছগুলো  দেখতে ছাতার মতো। লাল সোনাইলের পোশাকি নাম পিংক ক্যাশিয়া বা পিংক শাওয়ার। এতদিন কোনো বাংলা নাম ছিল না। লাল সোনাইল নাম রাখেন অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা। গড়নের দিক থেকে এরা সোনাইলের মতো, তবে রঙ আলাদা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!