• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

আবারও এল ঈদুল আজহা

‘মনের পশুরে কর জবাই’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৭, ২০২৪, ০৬:১৮ এএম
‘মনের পশুরে কর জবাই’

ঢাকা : পশু জবাই করে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর আর নিজেকে শুধরানোর আহ্বান নিয়ে আবারও এল ঈদুল আজহা।

এই ঈদে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের কলুষতাকে বলি দেওয়া ইসলামের শিক্ষা। ‘শহীদী ঈদ’ কবিতায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যেমন লিখেছেন, ‘মনের পশুরে কর জবাই/পশুরাও বাঁচে, বাঁচে সবাই।’

সোমবার (১৭ জুন) মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসব উদযাপন হচ্ছে সারাদেশে; কোরবানির পশু নিয়ে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তুতিও সেরেছেন সামর্থ্যবানরা।

জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাতের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন; রোববার ঈদগাহ পরিদর্শনে গিয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

ঈদ উপলক্ষে সাজানো হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক; নানা রঙের পতাকা টানানো হয়েছে সড়ক বিভাজকগুলোতে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, সেইফ হোম, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশনগুলো ঈদের আগে-পরে কয়েক দিন ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

এক ভিডিও বার্তায় জাতিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ঈদুল আজহার শিক্ষা ধারণ করে আসুন আমরা ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি।

রোববার (১৬ জুন) ঈদের ছুটি শুরুর আগে এবার শুক্র-শনির সাপ্তাহিক ছুটি মিলে গিয়েছিল। তার আগে স্কুল ছুটি ছিল বৃহস্পতিবার থেকেই। ফলে অনেকে গ্রামের বাড়ির পথ ধরেছেন আগেভাগে।

শুক্রবার থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে উত্তরের পথে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। যানবাহনের গতি কিছুটা শ্লথ হলেও আগের মত তীব্র যানজট পড়তে হয়নি ঘরমুখো মানুষদের। ফলে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এবার কিছুটা কমেছে।

ঈদে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে বাড়তি ভাড়া গুনে এবং ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপে চড়ে বাড়ির পথ ধরেছেন অনেকে। তবে ঈদের আগে এবার সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর এসেছে অন্যবারের চেয়ে কম।

সড়ক-মহাসড়কের পরিস্থিতি তুলে ধরে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পশুবাহী গাড়ি ও সড়কের পাশে পশুর হাটের কারণে সড়কে কিছুটা চাপ ও যানজট থাকলেও কোনো ভোগান্তি নেই।

শুক্রবার সকালে ঈদযাত্রার শুরুতে ঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার বিরল দৃশ্য দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে উঠা বন্ধ করতে রেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়।

অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বিক্রি হলেও সেখানে কালোবাজারির সুযোগ এখনো থাকার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা; এই কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের ঘটনাও আছে। বাড়তির চাপের কারণে আন্তঃনগর ট্রেনে ‘স্ট্যান্ডিং টিকেটের’ নামে ট্রেনে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

ঢাকায় কোরবানির পশুর বাজারে বিক্রেতারা কয়েক দিন অস্বাভাবিক বেশি দাম বললেও শেষের দিকে এসে দাম কমে আসার কথা বলেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

দুই দিন বাজার পর্যবেক্ষণের পর শনিবার পশু বিক্রির ধুম পড়ে গাবতলীতে। হাসিল ঘরের সামনে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। শনিবার সন্ধ্যায় একটি গেটে মিনিটে তিন থেকে চারটি গরু বের হতে দেখা যায়। ক্রেতারা সেসব গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

রাজধানীর লাখ লাখ বাসিন্দা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গত কয়েকদিনে চলে গেছেন গ্রামে। ফলে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন আবাহওয়া নিয়ে তিনটি ভিন্ন অবস্থার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেছেন, সকালে ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে, হালকা বৃষ্টি হতে পারে দিনের যে কোনো সময়।

সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটে দিনে দুই/তিন ভাগে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তবে খুলনা বিভাগে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালে বৃষ্টির সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’ বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।

ত্যাগের শিক্ষা প্রতিফলিত হোক ব্যক্তি জীবনে : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।

যুদ্ধ-বিগ্রহ ও সংঘাত-সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, সে কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক মানুষ নানা প্রতিবন্ধকতা ও কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বের অনেক স্থানে মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে ও বিনা চিকিৎসায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

স্বজনহারা বেদনায় গভীর শোক আর নিদারুণ কষ্টে তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। তাদের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা ও সমর্থন যোগাতে হবে। ঈদের খুশিতে তারাও যাতে শরিক হতে পারে সে চেষ্টা চালাতে হবে।

কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

তিনি বলেন, ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হোক- এটাই সকলের কাম্য।

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।

দেশবাসীকে ঈদ মোবারক জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জীবনের সকল পর্যায়ে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ুক- এই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক।

আমি আশা করি, ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে। আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

ঈদের এই মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ এবং মুসলিম জনগোষ্ঠীর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন সরকারপ্রধান।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে যোগ দেবেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ৯টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

ঈদ জামাত কখন-কোথায় : বরাবরের মতো এবারও দেশে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৭টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই জামাতে নামাজ পড়বেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদ জামাত হবে সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে।

বরাবরের মতই দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। পাশাপাশি দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান কয়েক লাখ মানুষের জামাতের আয়োজন হয়েছে।

বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি : ঈদের দিন সকালে নামাজের পর সবাই ব‌্যস্ত হয়ে পড়ছেন পশু কোরবানি করতে। ঢাকায় কোরবানি করা পশু এবং কোরবানির হাট মিলিয়ে অন্তত ৩৯ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হবে ধরে নিয়ে সেগুলো দ্রুততম সময়ে অপসারণের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।

ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে এই বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে। ঢাকা উত্তরের লক্ষ্য বেশ উচ্চাভিলাসী, তারা ছয় ঘণ্টার মধ্যে এবং দক্ষিণ সিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহর পরিচ্ছন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে।

গতবারের ঈদের অভিজ্ঞতায় সিটি করপোরেশন যে কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছে তাতে এবার সাড়ে ১২ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে ধারণা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

গত বছর ঈদের তিন দিনে ১৯ হাজার ৬৪৪ টন বর্জ্য অপসারণ করেছিল ঢাকার উত্তর অংশের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এই করপোরেশন। এবার বর্জ্য আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলেও ধারণা করছে তারা।

ঢাকার দক্ষিণ অংশে গত বছর কত পশু কোরবানি হয়েছিল সে তথ্য নেই। তবে ওই বছর ১৭ হাজার টনের বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছিল। এবার তা ১৮ হাজার টন ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ১১৫টি ডাম্প ট্রাক, ১৪০টি পিক-আপ, ১২৯টি কমপেক্টরসহ ৫২০টি বিশেষায়িত যান প্রস্তুত রেখেছে।

২৮টি ওয়ার্ডে উত্তর সিটির নিজস্ব ২ হাজার ৩৯৪ জন, ২৬টি ওয়ার্ডে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৩২৩ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী, ৪ হাজার ২০০ জন ভ্যান সার্ভিস কর্মী এবং ৪২০ জন মিলিয়ে ৯ হাজার ৩৩৭ জন কর্মী এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেবে।

উত্তর সিটি কোরবানির পশুর বর্জ্য রাখার জন্য ৯ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ, এক লাখ বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ, ৬৭ হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার নগরবাসীকে সরবরাহ করবে। সড়ক জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হবে সাড়ে চার হাজার লিটার স্যাভলন।

ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এক সময় কোরবানির ঈদের বর্জ্য সরাতে কয়েকদিন সময় লেগে যেত। আস্তে আস্তে কমিয়ে গত বছর ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসা হয়। এবার সেটি আরও কমিয়ে ৬ ঘণ্টা করা হয়েছে।

কোরবানির ঈদে আমি নিজে মাঠে থাকি। থাকেন কাউন্সিলররা। এদিন কাউকে ছুটি দেওয়া হয় না। আমাদের টার্গেট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার দেওয়া। আমরা এবার হাটের ইজারাদারদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ হারে জামানত রেখেছি। কারণ অনেক ইজারাদার হাট পরিষ্কার না করে চলে যায়। সেটা পরিষ্কার করবে কে? জামানতের টাকা থেকে ওই খরচ কেটে রাখা হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বর্জ্য অপসারণে ৪ হাজার ৯৯৭ জন নিজস্ব ও সাড়ে চার হাজার বেসরকারি কর্মী কাজ করবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে ৬০ জন করে।

বর্জ্য অপসারণে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ১৫০টি মিনি ট্রাক, ৪৬টি কম্পেক্টর এবং ৪৭টি পে লোডারসহ ৫৬০টি বাহন নিয়োজিত থাকবে।

দক্ষিণ সিটি এলাকার ১১টি হাটের প্রতিটিতে ৭০ জন করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবেন। এছাড়া হাটের বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে ৫৭টি ডাম্প ট্রাক, ১২টি পে লোডার এবং ১১টি টায়ার লোডার।

সড়কের বর্জ্য অপসারণের পর জীবাণুমুক্ত করতে ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার, ১ হাজার ১১০ লিটার স্যাভলন ব্যবহার করবে দক্ষিণ সিটি।

কোরবানির পশুর বর্জ্য রাখার জন্য ৯ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ এবং ১ লাখ বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ নগরবাসীকে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে এবারের বর্জ্য অপসারণের কর্মকৌশল ঠিক করেছেন তারা।

ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। যেহেতু ঈদের আগের রাত থেকে হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায় সেহেতু সেদিন মধ্যরাত থেকে আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব।

কোরবানির পশুর চামড়া : ঢাকায় গতবারের চেয়ে প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩ টাকা বাড়িয়ে এবার কোরবানির গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।

ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় কিনবেন; গত বছর এই দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গতবছর যা ৪৭ থেকে ৫২ টাকা ছিল।

সেই হিসাবে ঢাকায় এক লাখ টাকা দামের একটি গরুর চামড়া যদি ২০ বর্গফুট হয়, তখন ওই গরুর চামড়ার দাম হবে ১২০০ টাকা, ঢাকারবাইরে হবে ১০০০ টাকা।

এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হবে ট্যানারিতে, যা গত বছর ছিল ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১২ থেকে ১৪ টাকা।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!