• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ত্রোপচার ছাড়াই খেলতে পারবেন সাকিব?


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ১৪, ২০১৮, ০৫:১৫ পিএম
অস্ত্রোপচার ছাড়াই খেলতে পারবেন সাকিব?

ঢাকা : অস্ট্রেলিয়ায় আঙুলের পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। বিমানবন্দরে নেমে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার দেশজ সংবাদমাধ্যমকে আশার বাণি শুনিয়েছেন।

সাকিব মনে করছেন, আঙুলের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। কোনও প্রকার অস্ত্রোপচার ছা্ড়াই আবার মাঠে ফিরতে পারবেন। আশার মাঝে একটা শঙ্কাও লুকিয়ে আছে। সেটি ওই অস্ত্রোপচার নিয়েই। অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগামী ছয় থেকে ১২ মাস অস্ত্রোপচার করানো যাবে না।

এ নিয়ে সাকিব বলেছেন,‘ ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। কিন্তু সেটি প্রতি সপ্তাহে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে হবে ইনফেকশনটা বেড়েছে কি না। এ ছাড়া অন্য কোনো সমস্যাও হতে পারে। ইনফেকশনটা যদি হাড়ের ভেতর থাকে, তাহলে সেটি সেরে ওঠার সম্ভাবনা নেই।

হাড়ের ভেতর যেহেতু রক্ত নেই, আর সেখানে যেহেতু অ্যান্টিবায়োটিক পৌঁছায় না, তাই অপেক্ষা করতেই হবে। এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আসলে ছয় থেকে ১২ মাস কোনও অস্ত্রোপচার করানো যাবে না।’

সাকিবকে অপেক্ষা করতেই হবে। তবে তিনি কত দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠে নামতে পারেন সেটাই দেখার। সাকিবের চোটের ব্যাপারে এখনই নির্দিষ্ট করে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়, ‘এটা এমন একটা সমস্যা, যেটা ভালো হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা কেউ দিতে পারছেন না। এমন হতে পারে, আমি হয়তো পরের মাসেই খেলতে পারব। যেহেতু এই মুহূর্তে আমার হাতে কোনো ব্যথা নেই।

এখন ভাবনা হচ্ছে, আমার হাতের শক্তি কখন ফেরে। সেটা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরেও আসতে পারে। সেটি হলে সামনের মাসেই খেলতে পারি। আবার খেলার পরে যদি কোনও ব্যথা হয়, তাহলে অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। পুরো বিষয়টিই অনিশ্চিত। তবে যেহেতু ব্যথা নেই, তাই মনে হচ্ছে অস্ত্রোপচার ছাড়াই খেলতে পারব।’-বলেছেন সাকিব।

তবে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যতটা সম্ভব দ্রুত মাঠে ফিরতে চান। তাই অস্ট্রেলিয়া থাকা অবস্থাতেই সাকিব হাতের শক্তি ফেরানোর অনুশীলন শুরু করেছেন। তিনি বলছেন, ‘হাতের থেরাপিটা যত বেশি করা যাবে, ততই ভালো। আমি আসলে অস্ট্রেলিয়াতে থাকতেই তা শুরু করে দিয়েছি। হাতের আগের শক্তিটা আনারই এখন মূল উদ্দেশ্য।’

আঙুলের চোটের কারণে সাকিবের বিশ্বকাপ খেলা সংশয়ে পড়ে গেল কিনা তা নিয়ে কথা হচ্ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘যেহেতু এই চোট থেকে সেরে ওঠার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা কেউ দিতে পারছে না, তাই এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। এমনও হতে পারে, আমি পরের মাসেই খেলতে পারি, আবার মাঠে নামতে নামতে ছয় মাসও লেগে যেতে পারে।’

বল ও ব্যাটে সাকিবের কাছ থেকে সমান সার্ভিস পায় বাংলাদেশ। তাই তাঁর অভাব দল অনুভব করবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সাকিব তেমনটা মনে করেন না, ‘আমি না থাকার পরেও তো এশিয়া কাপের ফাইনালে খেললাম। কেবল ক্রিকেট নয়, যেকোনও খেলাতেই খেলোয়াড়েরা চোটে পড়তে পারে। দুই-এক মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে পারে। তখন কি সেই দলগুলো খেলবে না?

তবে এর সুবিধা হচ্ছে, নতুন দুই-একজন খেলোয়াড়ের সুযোগ তৈরি হয় এতে। আশা করি, তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। সত্যি কথা বলতে কি, কারও জন্য কিছু অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি, আমাদের ছাড়াই দল ভালো করবে। আমাকে আর তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশ যদি এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে পারে, তাহলে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমরা জিতব না কেন?’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!