• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোরিয়াকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অক্ষুণ্ণ পাকিস্তানের


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২২, ২০১৭, ০৬:০৫ পিএম
কোরিয়াকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অক্ষুণ্ণ পাকিস্তানের

ঢাকা: দশম এশিয়া কাপে অন্যতম ফেবারিট ছিল পাকিস্তান। স্বাগতিক বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুরুটাও ফেবারিটের মতই করেছিল তিন বারের এশিয়া সের দলটি। কিন্তু শুরু সেই ধারা আর ধরে রাখেতে পারেনি তারা। কোন মতে সুফার ফোরে উঠলেও জয়হীন। শেষ অবধি স্থান নিধারণী খেলায় দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে মোহাম্মদ ইরফানের দল

রোববার (২২ অক্টোবর) মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্থান নিধারণী খেলায় দক্ষিণ কোরিয়াকে ৬-৩ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার তৃতীয় হয়েছে পাকিস্তান। ফলে গত আসেরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াকে এবার চতুথ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে এই পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল কোরিয়া। সেই হিসাবে এটা পাকিস্তানের জন্য প্রতিশোধও বলা যায়।

এদিন শুরু থেকেই দারুণ খেলেছে পাকিস্তান। প্রথম কোয়াটারের দশম মিনিটেই এগিয়ে যায় পাকিস্তান। এ সময় মুশতাক-ইরফান কম্বিনেশন।

হিট থেকে এজাজ আহমেদের কানেক্টে এগিয়ে যায় পাকিস্তান (১-০)। ২০ মিনিটে সমতায় ফেরে কোরিয়ানরা। চু সুক হুনের রিভার্স হিটে স্কোরলাইন ১-১ করে ত্রয়োদশ র‌্যাংকিংধারী কোরিয়া। ৬ মিনিট পরেই রশিদ মেহমুদের চমৎকার হিটে গোল করে আবারও লিড নেয় পাকিস্তান (২-১)। ৩০ মিনিটে আতিক ও এজাজের সুন্দর আদান প্রদানে গোল করেন এজাজ আহমেদ (৩-১)। এর ২ মিনিট পরেই দ্বিতীয় পিসি পায় পাকিস্তান। এক্ষেত্রে পিসি বাতিলের জন্য কোরিয়ার রেফারেল ধোপে টেকেনি। আবু মাহমুদের গোলে ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পায় (৪-১)। 

৩৬ মিনিটে এজাজ আহমেদ একাই বল নিয়ে বিপদ সীমানায় ঢুকে প্লেসিং পুশে গোল করেন (৫-১)। সেই সঙ্গে পূরণ করেন হ্যাটট্রিকও। এটা ফাইনালের আগে টুর্নামেন্টের চতুুর্থ হ্যাটট্রিক। প্রথমটি করেছিলেন পাকিস্তানের আবু মাহমুদ, ১১ অক্টোবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে। ওই ম্যাচে পাকিস্তান জেতে ৭-০ গোলে। দ্বিতীয়টি করেন মালয়েশিয়ার ফাইজাল সারি। ১২ অক্টোবর ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে মালয়েশিয়া ৭-১ গোলে চীনকে হারায়। ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন ফাইজাল। তৃতীয়টি ১৯ অক্টোবরের। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ পেনাল্টি শূট আউটে ৪-৩ (৩-৩) গোলে হারায় চীনকে। ওই ম্যাচে চীনের দু তালাকে হ্যাটট্রিক করেন। 

৪৩ মিনিটে লি নামইয়ং শূটিং সার্কেল থেকে ড্রাগ এ্যান্ড পুশে গোল করলে ব্যবধান কিছুটা কমায় কোরিয়া (২-৫)। ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় পিসি আরেকটি গোল করে খেলায় কিছুটা উত্তেজনা ফিরিয়ে কোরিয়া (৩-৫)। সিউ ইনুউর কানেক্টে গোলটি হয়। যখনই মনে হচ্ছিল শেষ ৫ মিনিটে আরও দুটি গোল করে সমতায় ফিরবে কোরিয়া, তখনই ৫৯ মিনিটে আরেকটি গোল করে সেই ধারণাকে ধূলোয় মিশিয়ে দেয় পাকিস্তান।

রশিদ-ইয়াকুব-এজাজের আদান প্রদানে ইয়াকুবের প্লেসিং পুশে গোল হলে জয় এবং তৃতীয় স্থান নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের (৬-৩)।  
 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!