• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেশন থেকে অর্থ ফেরৎ যাচ্ছে, দায়ী কে?


ক্রীড়া প্রতিবেদক এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৯:৫৩ পিএম
ফেডারেশন থেকে অর্থ ফেরৎ যাচ্ছে, দায়ী কে?

ঢাকা: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে প্রত্যাশিত সাড়া মিলছে না। এমন অভিযোগ হর হামেশাই করে থাকে বেশির ভাগ ফেডারেশন। এখন কি বলবে সেই সব ফেডারেশন কর্তারা? অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পরও সেই অর্থ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশের শীর্ষ চারটি ফেডারেশন। ফলে বরাদ্দকৃত অর্থের বেশ কটি কিস্তির টাকা ফেরত নিয়ে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মাধ্যমে এক কোটি ৫২ লাখ ৬২ হাজার ১৮৮ টাকা ফেরত যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচীর প্রধান সমন্বয়ক বাদল রায়।

তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণের জন্য দেশের ৩১ ফেডারেশনের মধ্যে এনএসসি গত অর্থ বছরে ১৫ কোটি ১০ লাখ টাকা বন্টন করার উদ্যোগ নেয়। বেশিরভাগ (২৭টি) ফেডারেশন কয়েক স্তরে এনএসসির নির্দেশ বাস্তবায়ন করে। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল অ্যাথলেটিক্স, ভারোত্তোলন, সাঁতার এবং টেনিস ফেডারেশন। তারা এনএসসির বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচী বাস্তবায়নে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সেই অর্থ এখন চলে যাচ্ছে সরকারি কোষাগারে।

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে তারা মাত্র প্রথম কিস্তির ২২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যবহার করেছিল। খরচের সেই হিসেব এখনও দিতে পারেনি তারা। ফলে পরের তিন কিস্তির ৮৯ লাখ ১২ হাজার টাকা জমা হচ্ছে সরকারি কোষাগারে।

একই অবস্থা ভারোত্তোলন ফেডারেশনেরও। তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ফেডারেশনটি পেয়েছে প্রথম কিস্তির টাকা। বাকী তিন কিস্তির ২৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা এনএসসি জমা দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।

সাঁতার নিজ উদ্যোগে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছুদিন যাবত। এনএসসিও চেয়েছিল এই উদ্যোগে অর্থ সহায়তা করার। বরাদ্দও হয়েছিল ৬২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক টাকা তারা পেলেও তার হিসেব দিতে পারেনি কো-অর্ডিনেশন কমিটির কাছে। যে কারণে বাকি বরাদ্দটুকু (৩১ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা) ফেরতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএসসি।

টেনিস ফেডারেশন জন্য বরাদ্দ ছিল ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মধ্যে তারা তিন কিস্তির টাকা পেলেও চূড়ান্তপর্ব শেষ করতে পারেনি। তাই তাদের বরাদ্দের শেষ কিস্তির ৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৭ টাকা ফেরত যাচ্ছে।

বাকি ২৭টি ফেডারেশনের মধ্যে বরাদ্দকৃত টাকা নিয়েও কর্মসূচী শেষ করতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ শূটিং স্পোর্টস ফেডারেশন। এর মধ্যে শূটিং জানিয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তারা কর্মসূচী শেষ করবে। ফুটবল ৬৫ জন বাছাই করে রাখলেও তাদেরকে বিকেএসপিতে ৩ মাসের জন্য যে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল, সেটি তারা করতে পারেনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!