• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তামিমের সেঞ্চুরির পরও ২৩৪ রানেই থামল বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯, ১১:৪২ এএম
তামিমের সেঞ্চুরির পরও ২৩৪ রানেই থামল বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশ সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের সংগ্রামী ব্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে শুরুটা দারুন করেছিল বাংলাদেশ। এক সময় ১ উইকেটে সফরকারি দল তুলে নিয়েছিল ১২১ রান। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে একটি সুন্দরতম দিনের অপেক্ষায় ছিল লাল সবুজের সমর্থকরা। কিন্তু টাইগার সমর্থকদের আশায় জল ঢেলে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ২৩৪ রানেই থামিয়ে দিয়েছে কিউইরা।   

বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর দেখা পায় বাংলাদেশ। তামিম ও সাদমান প্রথম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন। ব্যক্তিগত ২৪ রানে সাদমান বোল্টের বলে বোল্ড হলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের।

এরপর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তামিম। ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম তিন বলে বোল্টকে তিন চার হাঁকিয়ে ৩৭ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন তামিম। ১৩ ওভারের প্রথম তিন বলে বোল্টকে টানা তিনটি চার মেরে মাত্র ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। সতীর্থের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন এ ওপেনার। তাতে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল বাংলাদেশ।

তবে হঠাৎই খেই হারান মুমিনুল। দলীয় ১২১ রানে নিল ওয়েগনারের বলে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পরে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন। তারই বলে টম লাথামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এ টপঅর্ডার। ফের ব্যর্থ সৌম্য সরকার। তাৎক্ষণিক চাপের মধ্যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। টিম সাউদিকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন বাঁহাতি ব্যাটার।

পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তামিম। পথিমধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। মাত্র ১০০ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন ড্যাশিং ওপেনার। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। অবশ্য সেঞ্চুরির পর খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তামিম। আর ২৬ রান যোগ করে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

এতে পুরোপুরি কক্ষচ্যুত হয় বাংলাদেশ। এর রেশ কাটতেই ওয়েগনারের বলে বোল্টকে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। ফেরার আগে অধিনায়ক করেন ৫ চারে ২২ রান। পরে দলকে টেনে তুলতে রোবটের মতো চেষ্টা করেন লিটন দাস। কিন্তু কেউ তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগাতে পারেননি। মাত্র ১০ রান করে ওয়েগনারের বলির পাঁঠা হন মেহেদী হাসান মিরাজ।

দিনটি ছিল মূলত ওয়েগনারের। তবে কম যাননি সাউদি। কেউ তোপ দাগালে আরেকজনকে সমর্থন জোগাতে হয়। ঠিক সেই কাজটিই করে গেছেন তিনি। ওয়েগনারের আগুন ঝরানোর মাঝে চোখ রাঙিয়েছেন সাউদি। দ্রুত তুলে নেন আবু জায়েদ ও খালেদ আহমেদকে।

তবে বাংলাদেশ শিবিরে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ওয়েগনারই। তুলে নেন লড়তে থাকা লিটনকে। শেষ পর্যন্ত ২৩৪ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে পেসার এবাদত হোসেনের। তিনি অপরাজিত ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে নিল নেন ৫ উইকেট। এ নিয়ে টেস্টে ষষ্ঠবার ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। ৩ উইকেট শিকার করেন সাউদি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!