• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুন ২৭, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। ৭ ম্যাচে দুদলের পয়েন্ট সমান ৭। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে। 

পাকিস্তানের এ জয়ে বাংলাদেশ দলের ওপর চাপ কিছুটা হলেও বাড়ল। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান, হাতেও রয়েছে সমান দুটি করে ম্যাচ। অর্থাৎ সেমিতে ওঠার দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে দুই দলকে। আর হারে সেমিফাইনালে ওঠার অপেক্ষা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে কেন উইলিয়ামসনের দল।

জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ২৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বাবর আজমের সেঞ্চুরি এবং হারিস সোহেলের ৬৮ রানে ভর করে ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। ১২৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাবর।
২৪.৫ ওভারের মধ্যে ১১০ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। এরপর চতুর্থ উইকেটে বাবর-হারিসের ১২৬ রানের জুটিতে জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি সরফরাজের দলের। তবে শুরুতে কিন্তু ভালোই শঙ্কায় পড়েছিল উপমহাদেশের দলটি। তৃতীয় ওভারে ফখর জামানকে (৯) তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১১তম ওভারে লকি ফার্গুসনের বলে ইমাম-উল-হকের (১৯) দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মার্টিন গাপটিল। এরপর বাবরের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।

জুটি ভাঙতে শেষ পর্যন্ত বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ‘পার্ট টাইম’ এ স্পিনারকে অযথাই উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট উপহার দেন হাফিজ (৩২)। তখনো বেশ ভয় ছিল পাকিস্তানের। কারণ মিচেল স্যান্টনার ও উইলিয়ামসনের বল বেশ বড় বড় বাঁক নিচ্ছিল। বিশেষ করে স্যান্টনার বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলেছিলেন বাবর ও হারিসকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজন কোনো বিপদ ঘটতে দেননি। আট বোলার ব্যবহার করেও সময়মতো তাঁদের জুটি ভাঙতে পারেননি উইলিয়ামসন। পাকিস্তান জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে রান আউট হন হারিস।

বুধবার (২৬ জুন)  টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠের আউটফিল্ড খেলার অনুপযুক্ত থাকায় নির্ধারিত সময়ের আধা ঘন্টা পর টস করতে নামেন দুই দলের অধিনায়ক। খেলা শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৪টায়।

ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ হাফিজের করা প্রথম ওভারটা সতর্কতার সাথে ব্যাট করে কাটিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল আর কলিন মুনরো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই মার্টিন গাপটিলকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ আমির। ৫ রান করে গাপটিল ফেরার পর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন আরেক ওপেনার কলিন মানরো। পেসার শাহিন আফ্রিদির গতির কাছে হার মেনে স্লিপে ক্যাচ দেন মানরো (১২)।

নিজের পরের ওভারে রস টেলরকেও গতির আগুনে পুড়িয়েছেন আফ্রিদি। তাঁর লেংথ বলে খোঁচা মারতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন টেলর। ডান দিকে ডাইভ দিয়ে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় এক হাতে ক্যাচটি ধরেন অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক সরফরাজ।

১৩তম ওভারে আরও এক উইকেট শাহীন আফ্রিদির। এবার তার দুর্দান্ত ডেলিভারিটি কিছু বোঝার আগেই টম লাথামের (১) ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় সরফরাজের হাতে। ৪ উইকেট পতনের পরও এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত ৪১ রানে শাদাব খানের লেগ স্পিনে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান।

এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ১৩২ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন জেমস নিশাম এবং কলিন ডি গ্রান্ড হোম। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। ৭১ বলে ৬৪ রান করে আউট হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ১১২ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন নিশাম। অপর প্রান্তে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন মিচেল স্যান্টনার।

পাকিস্তানের পক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদি সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া মোহাম্মদ আমির ও শাদাব খান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!