• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জল ঢালল বৃষ্টি


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুন ২০, ২০১৯, ০৭:১৯ পিএম
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে জল ঢালল বৃষ্টি

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: দ্বাদশ বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁরে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা ও অ্যারেন ফিঞ্চের ব্যাটে চড়ে রানের পাহাড় গড়ার পথে ম্যাচে নামে ঝুম বৃষ্টি। ফলে আপাতত খেলা বন্ধ রয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে টস জিতে টাইগারদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নামা অসিদের দারুন সূচনা এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারেন ফিঞ্চ। অথচ পঞ্চম ওভারেই ওপেনিং জুটিটা ভাঙতে পারত। মাশরাফির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ ফেলেছেন সাব্বির। কঠিন কোনো ক্যাচও ছিল না। ১০ রানে জীবন পেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করছেন ওয়ার্নার।

বিশ্বকাপে তুলে নিলেন আরও একটি হাফ সেঞ্চুরি। রুবেল হোসেনের বল ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে ৫৫ বলে পূরণ করেন ফিফটি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আসরে চতুর্থবার ৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন এই ওপেনার। ওয়ার্নারের পর ফিফটি পূরণ করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বাউন্ডারি মেরে মাইলফলকটিতে পৌঁছান এই ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক জ্বলে উঠেছেন আবার। ৫০ করতে তার লেগেছে ৪৭ বল।

দুই প্রান্তে বোলার পরিবর্তন করেও জুটি ভাঙতে পারছিল না টাইগার বোলাররা। তাই বাধ্য হয়ে সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। আস্থার প্রতিদান দিয়ে আক্রমণে এসেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন সৌম্য। নিজের প্রথম ওভারেই অ্যারেন ফিঞ্চকে রুবেলের তালুবন্দি করে বিদায় করেন তিনি।

তবে অন্যপ্রান্তে অটল ডেভিট ওয়ার্নার। চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি পূরণের পর ১৫০ রানও ছাড়িয়ে যান ওয়ার্নার। বাংলাদেশের নিয়মিত বোলারদের ওপর ঝড় তুলে একের পর এক বল করেছেন সীমানা ছাড়া। অবশেষে তাকে থামালেন ‘পার্ট-টাইম’ বোলার সৌম্য। তার শর্ট বল থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু বল তার ব্যাট ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় রুবেল হোসেনের হাতে। তার আগেই ১৪৭ বলে ১৪ চার ৫ ছক্কায় ১৬৬ রান তুলে নেন তিনি।  

এরপর ব্যাট হাতে নেমেই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে সৌম্যর ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান। রুবেল হোসেনের চমৎকার থ্রোতে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে মাত্র ১০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় খেলে যান ৩২ রানের টর্নেডো ইনিংস। ম্যাক্সওয়েল সাজঘরে ফেরার পর আবারও সৌম্যর জাদু। এবার তার শিকার হয়ে ফেরেন উসমান খাজা। সেঞ্চুরির আশা জাগানো এই ব্যাটসম্যান ৮৯ রানে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৭২ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১০ বাউন্ডারিতে। তাকে আউট করে সৌম্য পান তৃতীয় উইকেট।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। মাত্র ১ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাবেক এই অসি অধিনায়ক। পরের ওভারেই শুরু হয় বৃষ্টির কান্না! ঝুম বৃষ্টির ফলে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। তার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৬৮ রান তুলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ইনিংসে মাত্র এক ওভার খেলা বাকি। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। কাঁধের চোটে নেই মোসাদ্দেক হোসেন, পিঠের সমস্যায় বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেন। বাংলাদেশের মতো অস্ট্রেলিয়াও তাদের একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে। মার্কাস স্টয়নিসকে ফিরিয়ে এনেছে তারা। এই ম্যাচে খেলছেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জামপা ও পেসার নাথান কোন্টার নাইল।

পাঁচ ম্যাচ খেলে দুই জয় (দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে) ও দুই হারে (নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি মাঠেই গড়ায়নি বৃষ্টির কারণে। শীর্ষ চারে থেকে সেমি-ফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নিতে অ্যারন ফিঞ্চদের বিপক্ষে জয়টা খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কোস স্টইনিস, অ্যালেক্স ক্যারে (উইকেটরক্ষক), নাথান কুল্টার-নাইল, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!