• ঢাকা
  • বুধবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১
মিয়ানমার পরিস্থিতি

কে জিতলে কার লাভ হবে সেই অপেক্ষায় সবাই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ১১:২৯ এএম
কে জিতলে কার লাভ হবে সেই অপেক্ষায় সবাই

ঢাকা : ২০২০ সালে নির্বাচনের পর মিয়ানমারের পরিস্থিতি পুরো উল্টে যায়। মিয়ানমারের যেই সরকারের সঙ্গে ভারত ও চীন এতোদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করে আসছিলো সেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ সারাদেশে কমতে শুরু করেছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ৮ টি প্রদেশই এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তবে বর্তমান সরকার কতদিন স্থায়ী হবে সেই নিশ্চয়তাও নেই। তাই চীন ভারত দুজনকেই সব হিসেব নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে।

মিয়ানমারকে অঘোষিতভাবে চীনের করায়ত্ব মনে করে বিশ্বসম্প্রদায়ের অনেকাংশ। মিয়ানমার মানেই চীনের একটি ছায়া। চীনের মতো ভারতের সাথেও বিশাল সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। চীনের সাথে বিরোধের জেরে এখানেও নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের ইচ্ছা আছে ভারতের। তাই মিজোরাম সীমান্তের কালাদানে ভারত-মিয়ানমার যৌথভাবে একটি ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দুই দেশ।

মিয়ানমারে ভারতের এমন প্রকল্প কয়েকটি থাকলেও পুরো মিয়ানমার জুড়ে এমন শত শত প্রকল্প আছে চীনের। এটি ছিলো দীর্ঘদিনের বাস্তবতা।

কিন্তু ২০২০ সালে নির্বাচনের পর মিয়ানমারের পরিস্থিতি পুরো উল্টে যায়। মিয়ানমারের যেই সরকারের সঙ্গে ভারত ও চীন এতোদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করে আসছিলো সেই সরকারের নিয়ন্ত্রণ সারাদেশে কমতে শুরু করেছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ৮ টি প্রদেশই এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে।

তবে যারা বিদ্রোহ করছে তারা কখনও নতুন সরকার গঠন করতে পারবে কিনা সেই নিশ্চয়তা নেই এবং  বর্তমান সরকার কতদিন স্থায়ী হবে সেই নিশ্চয়তাও নেই। তাই চীন ভারত দুজনকেই সব হিসেব নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে।

একই ধরনের সমস্যায় আছে বাংলাদেশও। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ যে দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, মিয়ানমারের বর্তমান সরকার ক্ষতাচূত হলে এই আলোচনা আবার কোথা থেকে শুরু করতে হবে সেটিরও নিশ্চয়তা নেই। কারণ বিদ্রোহীরা যদি সফল হয় তাহলে শুধু একটি সরকার পরিবর্তন হবে না। পুরো মিয়ানমারই হয়তো নতুন একটি দেশে পরিনত হবে।

তবে এই অনিশ্চয়তায় বসে নেই চীন। দুটি দেশই বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সঙ্গেও তারা সমানতালে বন্ধুন্তের চেষ্টা করছে। নিজ নিজ বাণিজ্যিক পথ ও প্রকল্পগুলোও নিরাপদে রাখতে চাইছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যাটি আরো জটিল। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যা কোন বাণিজ্যিক প্রকল্প নয়। তাই বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!